অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা বাছাই করে সব যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
নীতিমালার শর্ত তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যারা শর্ত পূরণ করতে পেরেছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সবগুলোই এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
আসুন এখন জেনে নেই ২০২২ সালে পাওয়া এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কি কি বিবেচনার আলোকে এমপিওভুক্তি করা হয়েছে।
যেসব বিবেচনায় এমপিও দেওয়া হয়েছে:
✅ শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় এমপিও
শিক্ষার্থী বিবেচনায় এমপিওভুক্তির শর্ত পূরণ করতে প্রয়োজন কাম্য শিক্ষার্থী। কাম্য শিক্ষার্থীর জন্য ২০ নম্বর। কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যার পরবর্তী প্রতি ২০ শতাংশ বেশির জন্য ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মোট নম্বর সর্বোচ্চ ৩০।
✅ পরীক্ষার্থী বিবেচনায় এমপিও
কাম্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ক্ষেত্রে ২০ নম্বর এবং কাম্য সংখ্যার চেয়ে পরবর্তী প্রতি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ৫ নম্বর পাবে প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে মোট নম্বর ৩০।
✅ পাসের হার
পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার বিবেচনায় এমপিও পাওয়ার ক্ষেত্রে কাম্য পাসের হার অর্জনের জন্য ২৫ নম্বর এবং কাম্য হারের পরীক্ষার্থী প্রতি ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ৫ নম্বর। সর্বোচ্চ নম্বর ৪০।
এই যোগ্যতা যেসব প্রতিষ্ঠান অর্জন করেছে সব প্রতিষ্ঠানকেই এমপিও দেওয়া হয়েছে।
তবে শর্ত পূরণ করতে না পারায় যে উপজেলায় কোনও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুযোগ পায়নি, সেসব উপজেলার একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে যোগ্যতা ধরা হয়েছে ওই উপজেলার প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বরকে।
বিশেষ দ্রষ্ট্যব্য যে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সকল শর্ত পূরণ করার পরেও এমপিওভুক্তির তালিকায় স্থান পায়নি তারা নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন ফরম পূরন করে পুনঃবিবেচনার জন্য আপিল করতে পারবেন এবং সেটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য যে, এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হওয়া প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে, সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। পরবর্তীতে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করলে স্থগিত এমপিও অবমুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
যেসব তথ্যের ভিত্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, তার কোনোটি ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে এমপিও বাতিলসহ তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এ আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
FAQ: এমপিওভুক্তি
২০২২ সালে কতটি স্কুল কলেজ এমপিওভুক্তি হয়েছে?
নতুন এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত স্কুল কলেজের মধ্যে ৬৬৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ১২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৯টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ১৮টি ডিগ্রি কলেজ।
কিভাবে এমপিওভুক্তির জন্য আপিল করব?
যোগ্যতা সাপেক্ষেও কোনা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গেছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয় আপিল নিষ্পত্তি করবে।