এমপিওভুক্ত হতে না পারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আপিলের সুযোগ: ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভু্ক্ত হচ্ছে। বুধবার সকালে এ ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিকেলে এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হতে না পারা প্রতিষ্ঠানগুলো আপিল করতে পারবে।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, মোট ২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এরমধ্যে ২ হাজার ৬২৫ নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিত না হলেও ১২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১০টি স্কুল ও কলেজ, ১৩টি মাদরাসা ও ৪টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কিভাবে আপিল করবেন?
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগ্যতা সাপেক্ষেও কোনা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ গেছে মনে করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে ১৫ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর আবেদন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি গ্রহণ করে মন্ত্রণালয় আপিল নিষ্পত্তি করবে।
জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য নির্বাচিত স্কুল কলেজের মধ্যে ৬৬৬টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ১২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৩৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৯টি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, ১৮টি ডিগ্রি কলেজ।
কারিগরি এবং মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাভুক্ত ৬৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এসএসসি ভোকেশনাল অথবা দাখিল ভোকেশনাল ৯৭টি, এইচএসসি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ২০০টি, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার দুটি, দাখিল মাদরাসা ২৬৪টি, আলিম মাদরাসা ৮৫টি, ফাজিল মাদরাসা ৬টি, কামিল মাদরাসা ১১টি।
আরও পড়ুন: এমপিওভুক্তি থেকে বাতিল হওয়ার কারণসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়াদি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী কার্যকর হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন বিধি-বিধান ও সংশ্লিষ্ট পরিপত্র মোতাবেক প্রযোজ্য হবে।
শিক্ষক নিবন্ধন চালু হওয়ার আগে বিধিসম্মতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবেন। পরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য অবশ্যই নিবন্ধন সনদ প্রযোজ্য হবে।
এমপিওভুক্তির জন্য বিবেচিত হওয়া প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে, সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে। পরবর্তীতে কাম্য যোগ্যতা অর্জন করলে স্থগিত এমপিও অবমুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
যেসব তথ্যের ভিত্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, তার কোনোটি ভুল বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে এমপিও বাতিলসহ তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এ আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: নতুন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক স্কুলের তালিকা ২০২২ | High school MPO list 2022
তথ্যসুত্র: দৈনিকশিক্ষা/6-7-2022